সিরাজাম মুনির
সিরাতুর রাসূল : শিক্ষা ও উপদেশ
সিরাতে খাতামুল আম্বিয়া
সীমান্ত ঈগল
সুখের নাটাই
লেখক : আফরোজা হাসান প্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন পৃষ্ঠা:১০৪, কাভার: পেপারব্যাক সেই প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে মানুষ সুখের সন্ধান করে ফিরছে। নিজেদের জীবনকে সুখের আবরণে আচ্ছাদিত করতে মানুষের আজন্ম অভিপ্রায়। সভ্যতা এগোলো, মানুষ সংঘবদ্ধ হলো, গড়ে উঠলো সমাজ, রাষ্ট্র আর পরিবার। মানুষ থিঁতু হলো একটা জায়গায়। কিন্তু, সুখ সন্ধানে তার যে পৌরাণিক পৌনঃপুনিকতা, তা থেকে সে কি নিবৃত হতে পেরেছে কখনো? আজ আমরা জানি, ব্যক্তিজীবন, সমাজজীবন কিংবা রাষ্ট্রজীবন, সবখানেই মুখ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পরিবার। একটা পরিবার কাঠামোর মধ্যেই নিহিত থাকে আমাদের সমাজজীবন, রাষ্ট্রজীবন আর ব্যক্তিজীবনের সুখের বীজ। আমাদের পরিবার যতোখানি গোছানো হবে, যতোখানি পরিপাটি হবে আমাদের সংসার, আমরা ততোখানিই সুখের কাছাকাছি যেতে পারবো। তবে, এসবকিছুকে ছাপিয়ে, সুখী জীবনের সবচেয়ে বড় এবং সারকথা নিহিত আছে যে বিষয়ে, তা হলো মহান রবের সন্তুষ্টি। আমরা একটা বৃত্তবন্দী জীবন পার করি। আমাদের কেন্দ্রে আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধানই প্রধান এবং মুখ্য। ফলে, আমরা যতোখানি কেন্দ্রের কাছাকাছি থাকতে পারবো, কিংবা একীভূত হতে পারবো তার মাঝে, ততোই আমাদের জীবন সুখী হবে। সুখের সুন্দর সৌন্দর্য তখন আমাদের জীবনে প্রস্ফুটিত হবে। বৃত্তবন্দী সেই জীবনের পরত থেকে, সুখের অনুসন্ধানে লেখিকা আফরোজা হাসান রচনা করেছেন ‘সুখের নাটাই’ শিরোনামে একটি অনন্য শৈলীর উপাখ্যান। আমাদের বৃত্তবন্দী জীবনের অলিগলি থেকে, জীবনের পরত থেকে তুলে আনা সুখ সন্ধানের গল্পগুলো লেখিকার কলমে দারুণ শৈল্পীকতার রূপ লাভ করেছে। ‘সুখের নাটাই’-এ ভর করে, আমরাও ডুব দেবো অনন্ত অসীম আকাশে, যেখানে দেখা মিলবে সত্যিকার সুখের ঘুড়ির
সুন্নাত ও বিদয়াত
সুন্নাহর সংস্পর্শে
লেখক : ড. ইউসুফ আল কারযাভী প্রকাশনী : গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স পৃষ্ঠা : 232, কভার : হার্ড কভার, রাসূল (সা.)-এর জীবনপদ্ধতি আমাদের জন্য সুন্নাহ। তাঁর প্রতিটি শিক্ষা-আদেশ ও পর্যবেক্ষণও এর অন্তর্ভুক্ত। তাঁর জীবন অনুসৃত সাড়ে চৌদ্দশত বছর আগের সেই সুন্নাহ আজও মানবসমাজের জন্য সমানভাবে প্রাসঙ্গিক ও কার্যকর। কিন্তু দুঃখজনকভাবে উম্মাহ সুন্নাহর সেই পবিত্র নহরে অবগাহন করতে ব্যর্থ হচ্ছে। সাহাবায়ে কেরামের ন্যায় তারা সুন্নাহকে জীবনঘনিষ্ঠ করতে পারছে না। ফলে এর সুমিষ্টতা আস্বাদন থেকে তারা বঞ্চিত! আধুনিক সমাজে একদল মনে করেন, সুন্নাহ এখন ‘অচল বস্তু’, নিতান্তই সেকেলে; বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে এর আবেদন ও কার্যকারিতা শূন্যের কোঠায়। আরেক দল মনে করেন, সুন্নাহ এমন কিছু কঠিন ও রুক্ষ নিয়মকানুন, যা সর্বসাধারণের জন্য প্রযোজ্য নয়। এমনকি তা স্বাভাবিক জীবনপ্রণালির প্রতিবন্ধকও বটে। বাস্তবিকার্থে সুন্নাহ এই দুই চিন্তাধারার সীমাবদ্ধতা থেকে অনেক ঊর্ধ্বে। বরং সুন্নাহ সদা জীবন্ত, চির শাশ্বত ও অভিযোজ্য। প্রতিটি যুগ ও যুগান্তরে এটি সমানভাবে কার্যকর। সুন্নাহ সংস্পর্শে বইটি আপনাকে সেই উপলব্ধির দিকেই ধাবিত করবে। সুন্নাহ কী করে মানবসমাজকে আরও সুন্দর-সুস্থ ও সুবিন্যস্ত করতে পারে, শরিয়ার আইনে এর মর্যাদা-সীমা ও গুরুত্ব কী, ইত্যকার আলোচনা এতে স্থান পেয়েছে।
সুরা ইউসুফ: পবিত্র এক মানবের গল্প
সুরা ইউসুফ। আল-কুরআনের মনোমুগ্ধকর, শিক্ষণীয় এবং চমকপ্রদ একটি সুরা। এ সুরা থেকে জানা যায়, নবি ইউসুফ আলাইহিস সালাম ছিলেন পবিত্র এক মানব। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে আমরা সেই নিষ্পাপ যুবকের আলোকময় জীবনচরিত ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হয়েছে। শত শত বছর ধরে সারা পৃথিবী জুড়ে তাকে নিয়ে রচিত হয়েছে অসংখ্য অগণিত গ্রন্থ। তবে এ বইটি নিঃসন্দেহে অনুপম আর অতুলনীয়। অল্প কথায় প্রাঞ্জল ভাষায় এত বেশি সমৃদ্ধ একটি বই সচরাচর দেখা যায় না সাহিত্যজগতে। লেখক যেভাবে দু-মলাটের মাঝে তার চিন্তা, কথা, জ্ঞান ও মেধাকে সমন্বিত করেছেন এবং পাঠকদের সামনে চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।
বইটি কলেবরে ছোট হলেও সুরা ইউসুফের মর্মার্থ অনুধাবন এবং এ থেকে অফুরান শিক্ষা গ্রহণে কারো বিন্দুমাত্র অসুবিধা হবে না। এখানে পাতায় পাতায় দেখা মিলবে জ্ঞানমূলক কথামালার সুবিন্যস্ত আয়োজন। প্রতিটি বাক্যে, প্রতিটি অংশে পরিলক্ষিত হবে নিঁখুত শব্দের মজবুত গাঁথুনি। পাঠক যত বেশি এ গ্রন্থ পাঠ করবে, ততই যেন তার জ্ঞানতৃষ্ণা বেড়ে যাবে।
সেরা হোক এবারের রামাদান
স্বর্ণযুগের মুসলিম বিজ্ঞানীরা
প্রকাশনী : মুনলাইট পাবলিকেশন আধুনিক সভ্যতার জনক কেন মধ্যযুগের মুসলিম বিজ্ঞানীরা ? পদার্থবিজ্ঞান চিকিৎসাবিজ্ঞান,রাষ্ট্রবিজ্ঞান, গণিত,ভূগোল ভূতত্ত্ব, স্থাপত্য, মনস্তত্ত্ব, জ্যোতিবিদ্যা , জীববিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য শিল্পকলা বা দর্শন, জ্ঞানের এমন কোন শাখা নেই, যেখানে মুসলিম মনীষীরা অবদান রাখেন নি. আজকের উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা ও কম্পিউটার ভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি মুসলিম বিজ্ঞানীদের গবেষণার ওপর সরাসরি নির্ভরশীল.