ইসলামি সভ্যতায় চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাস
ইসলামী অর্থনীতি নির্বাচিত প্রবন্ধ
লেখক : শাহ্ মুহাম্মদ হাবীবুর রহমান প্রকাশনী : মুনলাইট পাবলিকেশন
ইসলামের আলোকে চিকিৎসা বিজ্ঞান
লেখক: ডক্টর মুহাম্মদ মুশাররফ হুসাইন প্রকাশনী: বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ বুক সোসাইটি লিঃ
উদ্দেশ্যহীন আর কত দিন?
উমর ইবনু আবদুল আজিজ
লেখক : ড. আলী মুহাম্মদ সাল্লাবী প্রকাশনী : কালান্তর প্রকাশনী উমর ইবনে আবদুল আজিজ রাহ.। ন্যায়-ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় ও রাষ্ট্রপরিচালনায় যিনি দ্বিতীয় উমর হিসেবে ইতিহাসে সুপরিচিত। তাঁর শাসনকাল খিলাফতে রাশিদার সোনালি শাসনের সঙ্গে তুলনা করা হয়; আর তাঁকেও বলা হয় খলিফায়ে রাশিদ। একজন পরিপূর্ণ আদর্শ ব্যক্তিত্ব বলতে যা বোঝায় এর সব গুণে গুণান্বিত ছিলেন—জ্ঞান অর্জন করে নিজেকে গঠন করা, চরিত্র-মাধুরী দিয়ে পৃথিবীকে জয় করা, বিনয়, নম্রতা, ক্ষমা, সহশীলতা, ধৈর্য আর আল্লাহর ভয়ে প্রকম্পিত থাকার অনন্য উদাহরণ উমর ইবনে আবদুল আজিজ রাহ.। একজন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে, পরাশক্তি খিলাফতের কর্তৃত্ববান হয়ে কীভাবে রক্ষা করেছেন রাষ্ট্রীয় আমানত, দিয়েছেন জনগণের অধিকার, সমাজ থেকে দূর করেছেন জুলুম-অত্যাচার, বিদ্রোহ দমন করে প্রতিষ্ঠা করেছেন শান্তি; রাষ্ট্রীয় আইনকানুন ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার অদ্বিতীয় দৃষ্টান্ত উমর ইবনে আবদুল আজিজ রাহ.। ব্যক্তিজীবনের পরিশুদ্ধি, পরিবার ও আত্মীয়দের সঙ্গে আচরণ, সন্তানদের লালনপালন ও প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার পদ্ধতির অসাধারণ এক চিত্র রয়েছে উমরের জীবনে। সর্বোপরি একজন আদর্শ ব্যক্তিত্ব, যাঁর ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক জীবনের খুঁটিনাটি আমাদের জন্য অনুকরণীয়। যিনি একজন তাবিয়ি, যুগশ্রেষ্ঠ ফকিহ ও মুহাদ্দিস, মুজাদ্দিদ, রাষ্ট্রসংস্কারক, ইতিহাসের বিরল ব্যক্তিত্ব। এমন একজন ব্যক্তিত্বকে জানার জন্য এই বই আপনাকে খুলে দেবে ইতিহাসের দরজা।
উসমান ইবনু আফফান
লেখক : ড. আলী মুহাম্মদ সাল্লাবী প্রকাশনী : কালান্তর প্রকাশনী
এক দিঘল দিনে নবিজি ﷺ
কাওলান কারীমা
কিতাবুত তাওহীদ
কুরআন সুন্নাহর আলোকে ইসলামী আকীদা
খারেজি (উৎপত্তি, চিন্তাধারা ও ক্রমবিকাশ)
লেখক : ড. আলী মুহাম্মদ সাল্লাবী প্রকাশনী : কালান্তর প্রকাশনী আলোচ্য গ্রন্থটি মূলত লেখকের ‘আলি বিন আবি তালিব শাখসিয়্যাতুহু ও আসরুহু’ গ্রন্থের চয়িতাংশ নিয়ে রচিত। সিফফিনের যুদ্ধের পর খারেজিরা হজরত আলি, মুআবিয়া ও আমর বিন আস রা.-কে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরবর্তী দুজন হত্যা প্রচেষ্টা থেকে বেঁচে যেতে সক্ষম হলেও হজরত আলি রা. ফজরের নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়ার সময় খারেজি আক্রমণকারীর দ্বারা গুরুতর আহত হন। দুই দিন পর এই অমিত-সাহসী এবং ধর্মপ্রাণ খলিফা শাহাদত বরণ করেন। আলোচ্য ঘটনার পরম্পরায় লেখক তখনকার পরিস্থিতি ও নানাবিদ ফিতনার দৃশ্যপট অঙ্কন করতে গিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা করেন। তুলে ধরেন খারেজি ও শিয়া সম্প্রদায়ের ইতিহাস। খণ্ডন করেন তাদের ভ্রান্ত আকিদা-বিশ্বাস। অসার হিসেবে প্রমাণ করেন তাদের চিন্তাধারা। বিশদ বিবরণে স্পষ্ট করেন তাদের ফিতনার আদ্যোপান্ত। পরে পাঠকচাহিদার প্রেক্ষিতে বিষয়টিকে মূল জীবনী বইয়ের পাশাপাশি পৃথক দুটি গ্রন্থে প্রকাশ করা হয়। তম্মধ্যে একটির নাম ‘ফিকরুল খাওয়ারিজি ওয়াশ শিয়া ফি মিজানি আহলিস সুন্নাতি ওয়াল জামাআহ’। অপরটির নাম ‘আল খাওয়ারিজ নাশাতুহুম ওয়া সিফাতুহুম ওয়া আকায়িদুহুম ওয়া আফকারুহুম’। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি শেষোক্ত গ্রন্থেরই অনূদিত রূপ।
খালিদ ইবনুল ওয়ালিদ রা.
লেখক : ড. আলী মুহাম্মদ সাল্লাবী প্রকাশনী : কালান্তর প্রকাশনী মাত্র ৩ হাজার সেনা নিয়ে প্রায় ২ লাখ সেনার বাহিনীকে পরাজিত করা সেনাপতির নাম খালিদ ইবনুল ওয়ালিদ। ইসলামের অস্ত্রযুুদ্ধে তাঁর বীরত্ব ও বিচক্ষণতার দাস্তান অবিস্মরণীয়। নবিজির দুআ ও শিক্ষায় তাঁর মধ্যে ঘটেছিল কাঙ্ক্ষিত সব গুণের সমাবেশ। ফলে সাহাবিদের কাফেলায় তিনি হয়ে উঠেছিলেন অনন্য। ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন নিজের সত্তাকেও। আর তাই ইসলামগ্রহণের পর মাত্র ১৪ বছরের জীবনে উপহার দিয়ে গেছেন অকল্পনীয় সব বিজয়। রণনৈপুণ্য, বীরত্ব, ইখলাস প্রভৃতি গুণের কারণে খালিদ উম্মাহর অবশ্যপাঠ্য মনীষার তালিকাশীর্ষে বরিত। এই গ্রন্থ শুধু খালিদের জীবনী নয়; নবিজি থেকে উমরের যুগ পর্যন্ত সময়ের বর্ণিল এক রণমানচিত্র বটে, যেখানে তথ্য ও তত্ত্বের আলোকে সূক্ষ্ম গবেষণা আর তীক্ষ্ণ বিচার-বিশ্লেষণে বয়ান করা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ নানাবিধ ঘটনা। বিশেষভাবে খালিদকে চিত্রিত করার পাশাপাশি আঁকা হয়েছে আরও অনেক সাহাবির রণ-নৈপুণ্যের দশদিগন্ত। দেওয়া হয়েছে খালিদ ও উমরকে নিয়ে ছড়ানো প্রোপাগান্ডার দালিলিক জবাব। তুলে ধরা হয়েছে খালিদের অনন্যতার গুপ্তরহস্যও।