আবু বকর সিদ্দিক রা
লেখক : ড. আলী মুহাম্মদ সাল্লাবী প্রকাশনী : কালান্তর প্রকাশনী আবু বকর (রাযি.)-এর আত্মবিশ্বাস ছিল আকাশছোঁয়া। দৃষ্টি ছিল ইগলের মতো তীক্ষ্ণ। উদারতা ছিল প্রশান্ত মহাসাগরের চেয়ে প্রশান্ত। প্রজ্ঞা ছিল আটলান্টিক মহাসাগরের চেয়ে গভীর। সংকল্পে ছিল হিমালয়ের উচ্চতা ও দৃঢ়তা। মর্যাদায় ছিলেন নবিদের পর শ্রেষ্ঠ মানব। ছিলেন রাসূলের আজীবন ছায়াসঙ্গী। নবিজির ইন্তিকালের পর উম্মাহ যখন দিশেহারা, সেই কঠিন দুঃসময়ে আবু বকর ছিলেন স্থিরচিত্ত। খিলাফতগ্রহণ করামাত্রই দেখা যায় দ্বীনত্যাগের ফিতনা। তখন তিনি যে কঠোরতা প্রদর্শন করেছিলেন, তা ছিল সম্পূর্ণ অকল্পনীয়। যখন উমরের মতো কঠোর প্রকৃতির মানুষটিও নম্রতা প্রদর্শনের কথা বলছিলেন, তখন তিনি ছিলেন পাথরের চেয়েও কঠিন-শক্ত। ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি খুলে খুলে আলোচনা করেছেন এই মহান ব্যক্তির জীবন। তাঁর পায়ের প্রতিটি পদচারণ টুকে দিয়েছে কাগজের পাতায়। দেখিয়েছেন, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তাঁর প্রতিটি মুহূর্ত। আসুন, তাঁর সিরাত-সমুদ্রে ডুব দিই। কুড়িয়ে আনি মণিমাণিক্য। তাঁর সিরাতের আলোয় সাজিয়ে তুলি আপন আপন জীবন।
উমর ইবনু আবদুল আজিজ
লেখক : ড. আলী মুহাম্মদ সাল্লাবী প্রকাশনী : কালান্তর প্রকাশনী উমর ইবনে আবদুল আজিজ রাহ.। ন্যায়-ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় ও রাষ্ট্রপরিচালনায় যিনি দ্বিতীয় উমর হিসেবে ইতিহাসে সুপরিচিত। তাঁর শাসনকাল খিলাফতে রাশিদার সোনালি শাসনের সঙ্গে তুলনা করা হয়; আর তাঁকেও বলা হয় খলিফায়ে রাশিদ। একজন পরিপূর্ণ আদর্শ ব্যক্তিত্ব বলতে যা বোঝায় এর সব গুণে গুণান্বিত ছিলেন—জ্ঞান অর্জন করে নিজেকে গঠন করা, চরিত্র-মাধুরী দিয়ে পৃথিবীকে জয় করা, বিনয়, নম্রতা, ক্ষমা, সহশীলতা, ধৈর্য আর আল্লাহর ভয়ে প্রকম্পিত থাকার অনন্য উদাহরণ উমর ইবনে আবদুল আজিজ রাহ.। একজন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে, পরাশক্তি খিলাফতের কর্তৃত্ববান হয়ে কীভাবে রক্ষা করেছেন রাষ্ট্রীয় আমানত, দিয়েছেন জনগণের অধিকার, সমাজ থেকে দূর করেছেন জুলুম-অত্যাচার, বিদ্রোহ দমন করে প্রতিষ্ঠা করেছেন শান্তি; রাষ্ট্রীয় আইনকানুন ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার অদ্বিতীয় দৃষ্টান্ত উমর ইবনে আবদুল আজিজ রাহ.। ব্যক্তিজীবনের পরিশুদ্ধি, পরিবার ও আত্মীয়দের সঙ্গে আচরণ, সন্তানদের লালনপালন ও প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার পদ্ধতির অসাধারণ এক চিত্র রয়েছে উমরের জীবনে। সর্বোপরি একজন আদর্শ ব্যক্তিত্ব, যাঁর ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক জীবনের খুঁটিনাটি আমাদের জন্য অনুকরণীয়। যিনি একজন তাবিয়ি, যুগশ্রেষ্ঠ ফকিহ ও মুহাদ্দিস, মুজাদ্দিদ, রাষ্ট্রসংস্কারক, ইতিহাসের বিরল ব্যক্তিত্ব। এমন একজন ব্যক্তিত্বকে জানার জন্য এই বই আপনাকে খুলে দেবে ইতিহাসের দরজা।
উসমান ইবনু আফফান
লেখক : ড. আলী মুহাম্মদ সাল্লাবী প্রকাশনী : কালান্তর প্রকাশনী
খারেজি (উৎপত্তি, চিন্তাধারা ও ক্রমবিকাশ)
লেখক : ড. আলী মুহাম্মদ সাল্লাবী প্রকাশনী : কালান্তর প্রকাশনী আলোচ্য গ্রন্থটি মূলত লেখকের ‘আলি বিন আবি তালিব শাখসিয়্যাতুহু ও আসরুহু’ গ্রন্থের চয়িতাংশ নিয়ে রচিত। সিফফিনের যুদ্ধের পর খারেজিরা হজরত আলি, মুআবিয়া ও আমর বিন আস রা.-কে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরবর্তী দুজন হত্যা প্রচেষ্টা থেকে বেঁচে যেতে সক্ষম হলেও হজরত আলি রা. ফজরের নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়ার সময় খারেজি আক্রমণকারীর দ্বারা গুরুতর আহত হন। দুই দিন পর এই অমিত-সাহসী এবং ধর্মপ্রাণ খলিফা শাহাদত বরণ করেন। আলোচ্য ঘটনার পরম্পরায় লেখক তখনকার পরিস্থিতি ও নানাবিদ ফিতনার দৃশ্যপট অঙ্কন করতে গিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা করেন। তুলে ধরেন খারেজি ও শিয়া সম্প্রদায়ের ইতিহাস। খণ্ডন করেন তাদের ভ্রান্ত আকিদা-বিশ্বাস। অসার হিসেবে প্রমাণ করেন তাদের চিন্তাধারা। বিশদ বিবরণে স্পষ্ট করেন তাদের ফিতনার আদ্যোপান্ত। পরে পাঠকচাহিদার প্রেক্ষিতে বিষয়টিকে মূল জীবনী বইয়ের পাশাপাশি পৃথক দুটি গ্রন্থে প্রকাশ করা হয়। তম্মধ্যে একটির নাম ‘ফিকরুল খাওয়ারিজি ওয়াশ শিয়া ফি মিজানি আহলিস সুন্নাতি ওয়াল জামাআহ’। অপরটির নাম ‘আল খাওয়ারিজ নাশাতুহুম ওয়া সিফাতুহুম ওয়া আকায়িদুহুম ওয়া আফকারুহুম’। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি শেষোক্ত গ্রন্থেরই অনূদিত রূপ।
খালিদ ইবনুল ওয়ালিদ রা.
লেখক : ড. আলী মুহাম্মদ সাল্লাবী প্রকাশনী : কালান্তর প্রকাশনী মাত্র ৩ হাজার সেনা নিয়ে প্রায় ২ লাখ সেনার বাহিনীকে পরাজিত করা সেনাপতির নাম খালিদ ইবনুল ওয়ালিদ। ইসলামের অস্ত্রযুুদ্ধে তাঁর বীরত্ব ও বিচক্ষণতার দাস্তান অবিস্মরণীয়। নবিজির দুআ ও শিক্ষায় তাঁর মধ্যে ঘটেছিল কাঙ্ক্ষিত সব গুণের সমাবেশ। ফলে সাহাবিদের কাফেলায় তিনি হয়ে উঠেছিলেন অনন্য। ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন নিজের সত্তাকেও। আর তাই ইসলামগ্রহণের পর মাত্র ১৪ বছরের জীবনে উপহার দিয়ে গেছেন অকল্পনীয় সব বিজয়। রণনৈপুণ্য, বীরত্ব, ইখলাস প্রভৃতি গুণের কারণে খালিদ উম্মাহর অবশ্যপাঠ্য মনীষার তালিকাশীর্ষে বরিত। এই গ্রন্থ শুধু খালিদের জীবনী নয়; নবিজি থেকে উমরের যুগ পর্যন্ত সময়ের বর্ণিল এক রণমানচিত্র বটে, যেখানে তথ্য ও তত্ত্বের আলোকে সূক্ষ্ম গবেষণা আর তীক্ষ্ণ বিচার-বিশ্লেষণে বয়ান করা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ নানাবিধ ঘটনা। বিশেষভাবে খালিদকে চিত্রিত করার পাশাপাশি আঁকা হয়েছে আরও অনেক সাহাবির রণ-নৈপুণ্যের দশদিগন্ত। দেওয়া হয়েছে খালিদ ও উমরকে নিয়ে ছড়ানো প্রোপাগান্ডার দালিলিক জবাব। তুলে ধরা হয়েছে খালিদের অনন্যতার গুপ্তরহস্যও।
শিয়া (উৎপত্তি, চিন্তাধারা ও ক্রমবিকাশ)
লেখক : ড. আলী মুহাম্মদ সাল্লাবী প্রকাশনী : কালান্তর প্রকাশনী মুসলিমদের জেনে রাখা উচিত,তাদের কোনো আন্দোলন সঠিক আকিদা-বিশ্বাসের নিরিখে প্রতিষ্ঠিত না হলে তা কোনোদিন সফল হবে না। ইসলামি ইতিহাসের আগাগোড়া পাঠ করলে অনুমিত হবে,বিশেষ করে সুলতান নুরুদ্দিন ও সালাহুদ্দিন আইয়ুবির যুগে ক্রুসেডে,উসমানিদের শাসনামলে সুলতান মুহাম্মাদের যুগে কনস্টান্টিনোপল বিজয়ে,ইউসুফ ইবনু তাশফিনের মুরাবিত সাম্রাজ্যের যুগে মুসলিমজাতি যে বিজয় ও সাহায্য লাভ করেছিল,তার পেছনে ছিল তাদের পরিচ্ছন্ন আকিদা। উপযুক্ত পরিকল্পনা। সাম্রাজ্যে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা। সমাজের দুর্নীতিবাজ,নষ্ট আকিদার লোকজন এবং ইয়াহুদি-খিষ্টানদের নিয়ন্ত্রণ করা ইত্যাদি। ইতিহাস সাক্ষী,শিয়ারা তাদের জন্মের শুরু থেকে যখনই সুযোগ পেয়েছে ইসলাম ও মুসলিম সমাজব্যবস্থার ওপর বিষাক্ত ছোবল হেনেছে। তারাই মূলত প্রথমে ইসলামের সুদৃঢ় ঐক্য তছনছ করেছে। চেঙ্গিস খানকে ডেকে এনে ধ্বংস করিয়েছে ঐতিহ্যবাহী শহর বাগদাদ। সাফাবি সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে প্রাচ্যের মুসলিমসমাজের জন্য জাহান্নামের পরিবেশ তৈরি করেছে। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে শিয়াদের পরিচয়,তাদের বিভিন্ন দল-উপদল,আকিদা-বিশ্বাস ইত্যাদি নিয়ে দালিলিকভাবে আদ্যোপান্ত আলোচনা করা হয়েছে। প্রত্যেক চিন্তাশীল ব্যক্তির উচিত,গ্রন্থটি একবার হলেও পাঠ করা। এতে আমরা তাদের ইতিহাস,ভ্রান্তি ও অপকর্ম সম্পর্কেও গভীরভাবে জানতে পারব।