বাঙালি মুসলমানের শেকড়ের কথা
লেখক : মনযূর আহমাদ প্রকাশনী : চেতনা প্রকাশন পৃষ্ঠা : 176, কভার : পেপার ব্যাক বঙ্গে যখন মানুষের বসতি শুরু হয়, তখন পৃথিবীর বহু অঞ্চলই মানবসভ্যতার ছোঁয়া পায়নি। এই জনপদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য প্রায় পাঁচ হাজার বছরের পুরোনো। তবে এখানে মানব বসতির শুরুটা ঠিক কীভাবে এবং কবে হয়েছিল, তা প্রচলিত ইতিহাসের নাগালের বাইরে।অবশ্য অপ্রচলিত কিছু সূত্র ধরলে আমরা দেখতে পাই, নুহ নবীর মহাপ্লাবনের পর পৃথিবী যখন প্রথমবারের মতো জনশূন্য হয়, তাঁর বংশধরদের একটি দল পাকিস্তান ও ভারতের সিন্ধু অঞ্চলে এসে বসতি স্থাপন করে। পরবর্তীতে তাদের একটি অংশ বাংলা জনপদে বসবাস শুরু করে। কথিত আছে, তাঁদের মধ্যে নুহ নবীর একজন প্রপৌত্র ছিলেন, যার নাম বঙ্গ—এ জনপদের নাম সেই থেকেই বঙ্গ, এবং পরে তা বঙ্গ-আল, বাঙ্গালাহ, বাংলা থেকে পরিবর্তিত হয়ে বাংলাদেশ নামে পরিচিতি পায়। ঐতিহাসিক গোলাম হোসাইন সালিম তাঁর বিখ্যাত ‘রিয়াজুস সালাতিন’ গ্রন্থে এই তথ্য উপস্থাপন করেছেন। ইসলামী সূত্রে এই মতটি যথেষ্ট শক্তিশালী। উপরোক্ত তথ্যের ভিত্তিতে বলা যায়, এই জনপদে মানববসতির সূত্রপাত মুসলমানদের হাতেই। ফলে এই ইতিহাসকে পুনরুজ্জীবিত করা মুসলমানদেরই দায়িত্ব।
সিন্ধু থেকে বঙ্গ (দুই খণ্ড)
লেখক : মনযূর আহমাদ প্রকাশনী : চেতনা প্রকাশন পৃষ্ঠা : 1100, কভার : হার্ড কভার মোট দুই খণ্ডের বইটির প্রথম খণ্ড ২১টি অধ্যায়ে বর্ণিত হয়েছে বিস্তৃত ইতিহাস। ইবরাহিম আলাইহিস সালামের মুনাজাত থেকে শুরু করে প্রাচীন ভারতের শিক্ষাব্যবস্থা, ইসলাম প্রচারে ওলি-আউলিয়ার অবদান, বঙ্গে ইসলাম প্রচার, মুসলিম শাসনের সূচনা, সিন্ধু বিজয়-সহ রাজবংশগুলোর ইতিহাস বিবৃত হয়েছে সাবলীলভাবে।প্রথম খণ্ডে আলোচিত হয়েছে গজনি থেকে ইলিয়াস-শাহি বংশ (১৩৪২-১৩৫৮ খ্রিষ্টাব্দ) পর্যন্ত। দ্বিতীয় খণ্ড পুরোটাজুড়ে আলোচিত হয়েছে মুঘল শাসনের ইতিহাস। মুঘল শাসকদের জীবনী, তাদের শাসনকাল, অবদান, যুদ্ধ-বিগ্রহ, ধর্মীয় ও সামাজিক অবস্থা ইত্যাদি বিস্তারিতভাবে আলোচিত হয়েছে। ২০ অধ্যায়ের এই খণ্ডটির শেষ পাঁচটি অধ্যায়ে আলোচিত হয়েছে পর্যায়ক্রমে মুঘল শাসনব্যবস্থায় সমাজ ও সংস্কৃতি, হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ক, শিল্পব্যবস্থা, শিক্ষা-সাহিত্য এবং ভারতবর্ষে সভ্যতা নির্মাণে ইসলামের ঐতিহাসিক অবদান।নিজের শেকড় ও অস্তিত্ব, মাটি ও মানবের ইতিহাস জানতে পড়ুন ‘চেতনা’ প্রকাশিত ‘সিন্ধু থেকে বঙ্গ।’