ইসলামি চেতনা
লেখক : ড. ইউসুফ আল কারযাভী প্রকাশনী : গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স পৃষ্ঠা : 512, কভার : হার্ড কভার, চেতনা একজন মানুষকে আপন কক্ষপথে অবিচল ও সুদৃঢ় রাখে। এজন্য একজন সফল ও সার্থক মুসলিম হতে হলে ইসলামি চেতনাকে হৃদয়ে লালন করা অত্যন্ত জরুরি। বয়ঃসন্ধি থেকে প্রৌঢ়ত্ব; জীবনের প্রতিটি স্তরেই এই চেতনার উজ্জীবন ঘটাতে পারলেই কাক্সিক্ষত ব্যক্তিত্ব গঠনের পাশাপাশি প্রত্যাশিত সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনও সম্ভবপর হবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ইসলামি চেতনা বলতে কী বোঝায়? আমরা জানি, ইসলামের নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আর এই বৈশিষ্ট্যের মূলকথা হলো সহজাত ও সহমর্মিতা। তাইতো ইসলামের সর্বাঙ্গে মিশে আছে দয়া, করুণা ও সহমর্মিতার ছাপ। বলা হয়ে থাকে, ইসলাম সহজতা ও উদারতার ধর্ম। এখানে নেই কোনো কৃত্রিমতা, বাড়াবাড়ি ও কঠোরতার স্থান। তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাতের সাথে এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলোই ইসলামি চেতনার সারকথা। আর এগুলোই পরিপূর্ণ ইসলামি ব্যক্তিত্ব গড়ার পাশাপাশি সমৃদ্ধ সমাজ গঠনের মূল উপকরণ। ইসলামের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য ও অবয়ব কেমন এবং কীভাবে তা ব্যক্তি ও সমাজের ওপর প্রভাব বিস্তার করে, তা যদি ইসলামের মুখেই শুনতে চান, তবে ইসলামি চেতনা বইটি হতে পারে আপনার জন্য উত্তম পাথেয়।
ইসলামি জাগরণ : অবহেলা ও বাড়াবাড়ি
লেখক : ড. ইউসুফ আল কারযাভী প্রকাশনী : গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স পৃষ্ঠা : 192, কভার : হার্ড কভার বর্তমান বিশ্ব যেন আজ চরম অরাজকতা, রাজনৈতিক উত্তেজনা, ধর্মীয় সহিংসতা ও অর্থনৈতিক অচলাবস্থায় ক্লান্ত। এই সংকটাবস্থা থেকে উত্তরণে যে মহাপরিকল্পনাই প্রণয়ন করা হোক না কেন, যুবকদের উপেক্ষা করে তার সফল বাস্তবায়ন অসম্ভব। বাস্তবিকার্থেই যেকোনো অচলাবস্থা তৈরি এবং তা থেকে পরিত্রাণের প্রচেষ্টায় যুবকদের ভূমিকাই মুখ্য। ফলত বর্তমান সংকটাবস্থায় চরমপন্থি একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সক্রিয় ও চাতুর্যের সাথে মুসলিম যুবকদের উসকে দিয়ে কার্যসিদ্ধি করতে মরিয়া। এই প্রক্রিয়ার শুরুতেই তারা যুবকদের মন-মগজ ঢুকিয়ে দেয় ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে হলে তরবারির কোনো বিকল্প নেই। ফলে বেরিয়ে পড়তে হবে এখনই। বিপরীতে আরেকটি দল মনে করছে, ইসলাম মূলত মসজিদের চার দেওয়াল, কুরআনের দুই মলাট ও তসবির একশ দানার মধ্যে সীমাবদ্ধ। এর বাইরে বাস্তব জীবনের সঙ্গে ইসলামের কোনো লেনাদেনা নেই। থাকলেও ফিতনার এই যুগে তার প্রয়োগ অসম্ভব। সুতরাং ঘরে বন্দি থাকাই শ্রেয়। তাত্ত্বিক বিচারে ওপরের দুই দলই বাড়াবাড়ি ও অবহেলার বেড়াজালে আটকা পড়েছে। ইসলামের জাগরণ যেন আজ নিজের ঘরেই আষ্টেপৃষ্ঠে বন্দি। ইসলামি জাগরণের এই বন্দিদশা থেকে মুক্তির ভারসাম্যপূর্ণ রূপরেখা ইসলামি জাগরণ : অবহেলা ও বাড়াবাড়ি বইটি
ইসলামি সভ্যতায় চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাস
ইসলামী অর্থনীতি নির্বাচিত প্রবন্ধ
লেখক : শাহ্ মুহাম্মদ হাবীবুর রহমান প্রকাশনী : মুনলাইট পাবলিকেশন
ইসলামের অগ্রাধিকার নীতি
লেখক : ড. ইউসুফ আল কারযাভী প্রকাশনী : গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স পৃষ্ঠা : 344, কভার : হার্ড কভার ইসলামের যাবতীয় বিধিবিধান প্রবর্তনের পেছনে শরিয়াহ প্রণেতার মূল উদ্দেশ্য হলোÑমানুষের কল্যাণ সাধন এবং অকল্যাণকে দূরীকরণ। ইসলাম সব সময় দুটি কল্যাণের মাঝে সর্বোত্তম কল্যাণকে এবং দুটি ক্ষতির মাঝে অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিকে বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেয়। অথচ আমাদের সমাজজীবনের পরতে পরতে নানান অসংগতির চর্চা দেখা যায়। এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলি উপেক্ষিত রেখে অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে মাতামাতি চলে হরদম। জাতীয় সমস্যা সমাধানে ফিকহচর্চায় অনুগামী না হয়ে ছোটোখাটো শাখাগত মাসয়ালায় গলদ্ঘর্ম হয় আমাদের আলিমসমাজ। ফলে সর্বক্ষেত্রে অগ্রাধিকার নির্ধারণের বিষয়টি চরমভাবে ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। অগ্রাধিকার নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের এই সংকট দূরীকরণে বর্তমান শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামি স্কলার ড. ইউসুফ আল কারজাভি (রহ.) রচিত ইসলামের অগ্রাধিকার নীতি গ্রন্থটি একটি মাইলফলক হতে পারে।
ইসলামের আলোকে চিকিৎসা বিজ্ঞান
লেখক: ডক্টর মুহাম্মদ মুশাররফ হুসাইন প্রকাশনী: বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ বুক সোসাইটি লিঃ
ইসলামের চোখে নারী
লেখক : ড. ইউসুফ আল কারযাভী প্রকাশনী : গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স পৃষ্ঠা : 224, কভার : হার্ড কভার নারীকে ঘিরে ইসলামের যাবতীয় অধিকার কি শুধু ঘরকেন্দ্রিক? চার দেওয়ালের মধ্যেই কি সীমাবদ্ধ নারীর যাবতীয় অধিকার? ঘর-সংসারের বাইরে কি তাদের অবদান রাখার কোনো সুযোগ নেই? ব্যাবসা-বাণিজ্য-চাকরিসহ সমাজ ও রাষ্ট্রে তারা কি একেবারেই কর্তব্যহীন? অধিকার ও দায়হীন নারীর এমনই একটি চিত্র অঙ্কন করে ইসলামের ওপর অপবাদ চাপাতে ব্যস্ত পুঁজিবাদী সমাজ। মুসলিমরাও যেন সেই অপবাদ স্বীকার করেছে অনুগতচিত্তে। অথচ প্রকৃত অবস্থা এর থেকে ঢের দূরে। ইসলাম নারীকে মূল্যায়ন করেছে সবচেয়ে বেশি। মানুষ হিসেবে তাকে দিয়েছে যথোপযুক্ত মর্যাদা। একজন কন্যা ও মা হিসেবে তার প্রতিরক্ষার সব ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। স্ত্রী হিসেবে দিয়েছে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এবং সম্মানজনক অধিকার। সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সুনিশ্চিত করেছে তার সামাজিক মর্যাদাও। অথচ এই বিষয়গুলো অনেকেরই অজানা। তাই বৃহত্তর সমাজে মুসলিম নারীরা আজ হীনম্মন্যতায় নিমজ্জিত। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে ইসলামে নারীর সার্বিক অবস্থান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা রাখা প্রত্যেক সচেতন মানুষের কর্তব্য। ইসলামের চোখে নারী গ্রন্থটি আপনার এই যাত্রায় সহায়ক হবে এবং এই বিষয়ে ক্রিস্টাল-ক্লিয়ার ধারণা দেবে, ইনশাআল্লাহ।
উদ্দেশ্যহীন আর কত দিন?
উমর ইবনু আবদুল আজিজ
লেখক : ড. আলী মুহাম্মদ সাল্লাবী প্রকাশনী : কালান্তর প্রকাশনী উমর ইবনে আবদুল আজিজ রাহ.। ন্যায়-ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় ও রাষ্ট্রপরিচালনায় যিনি দ্বিতীয় উমর হিসেবে ইতিহাসে সুপরিচিত। তাঁর শাসনকাল খিলাফতে রাশিদার সোনালি শাসনের সঙ্গে তুলনা করা হয়; আর তাঁকেও বলা হয় খলিফায়ে রাশিদ। একজন পরিপূর্ণ আদর্শ ব্যক্তিত্ব বলতে যা বোঝায় এর সব গুণে গুণান্বিত ছিলেন—জ্ঞান অর্জন করে নিজেকে গঠন করা, চরিত্র-মাধুরী দিয়ে পৃথিবীকে জয় করা, বিনয়, নম্রতা, ক্ষমা, সহশীলতা, ধৈর্য আর আল্লাহর ভয়ে প্রকম্পিত থাকার অনন্য উদাহরণ উমর ইবনে আবদুল আজিজ রাহ.। একজন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে, পরাশক্তি খিলাফতের কর্তৃত্ববান হয়ে কীভাবে রক্ষা করেছেন রাষ্ট্রীয় আমানত, দিয়েছেন জনগণের অধিকার, সমাজ থেকে দূর করেছেন জুলুম-অত্যাচার, বিদ্রোহ দমন করে প্রতিষ্ঠা করেছেন শান্তি; রাষ্ট্রীয় আইনকানুন ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার অদ্বিতীয় দৃষ্টান্ত উমর ইবনে আবদুল আজিজ রাহ.। ব্যক্তিজীবনের পরিশুদ্ধি, পরিবার ও আত্মীয়দের সঙ্গে আচরণ, সন্তানদের লালনপালন ও প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার পদ্ধতির অসাধারণ এক চিত্র রয়েছে উমরের জীবনে। সর্বোপরি একজন আদর্শ ব্যক্তিত্ব, যাঁর ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক জীবনের খুঁটিনাটি আমাদের জন্য অনুকরণীয়। যিনি একজন তাবিয়ি, যুগশ্রেষ্ঠ ফকিহ ও মুহাদ্দিস, মুজাদ্দিদ, রাষ্ট্রসংস্কারক, ইতিহাসের বিরল ব্যক্তিত্ব। এমন একজন ব্যক্তিত্বকে জানার জন্য এই বই আপনাকে খুলে দেবে ইতিহাসের দরজা।
উমরাহ কীভাবে করবেন?
লেখক : শায়খ আহমাদুল্লাহ প্রকাশনী : আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পাবলিকেশন্স পৃষ্ঠা : 32, কভার : পেপার ব্যাক বাইতুল্লাহর যিয়ারত ও রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর মাকবারার সামনে দাঁড়িয়ে সালাম নিবেদন প্রতিটি মুমিনের আরাধনার বিষয়। উমরাহর মাধ্যমে মুমিনেরা কাঙ্ক্ষিত এই স্বপ্ন সহজেই পূরণ করতে সক্ষম হন। বাজারে হজ বিষয়ক অনেক বই পাওয়া গেলেও শুধু উমরাহ সম্পর্কিত নির্ভরযোগ্য স্বতন্ত্র বই বাজারে নেই বললেই চলে। প্রখ্যাত আলেমে দীন, আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ সেই শূন্যতা পূরণের জন্য লিখেছেন নতুন পুস্তিকা—উমরাহ কীভাবে করবেন। আল্লাহর ঘরের মেহনানদের সুবিধার্থে বইটির শেষার্ধে হাদীস বর্ণিত ব্যাপক অর্থবোধক বেশ কিছু দোয়া অর্থ ও উচ্চারণসহ সংযোজন করা হয়েছে; যেন দোয়া কবুলের স্থানগুলোতে সহজে দোয়াগুলো নিবেদন করতে পারেন। এই বই পাঠের মাধ্যমে একজন মুসলিম উমরাহর পূর্ণাঙ্গ পদ্ধতি, যাবতীয় বিধি-নিষেধ ও ব্যাপক অর্থবোধক অনেকগুলো দোয়া সম্পর্কে সহজে অবগত হতে পারবেন।
উম্মতের তালিকায় নাম কাটা যাদের
লেখক : শাইখ আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ প্রকাশনী : সত্যায়ন প্রকাশন পৃষ্ঠা : 128, কভার : পেপার ব্যাক শেষ বিচারের দিনে আমাদের প্রিয়নবি মুহাম্মাদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর উম্মতের বিশাল সংখ্যা নিয়ে গর্ব করবেন। কারণ, শেষ জমানার মানুষ হয়েও এই উম্মত থাকবে অন্য সবার চেয়ে এগিয়ে। জান্নাতেও যাবে সবার আগে। কিন্তু উম্মতের এই বিশাল তালিকায় থাকার যেমন সুযোগ আছে, তেমনি আছে ছিটকে পড়ার ঝুঁকিও। কী কী কারণে একজন মুসলিম সেই সুবিশাল দল থেকে বেরিয়ে যায়, নবিজি আমাদেরকে সেসব জানিয়ে গিয়েছেন। বিভিন্ন হাদীসের বই থেকে সেই হাদীসগুলোকে একত্র করা হয়েছে এ বইতে। নাম দেওয়া হয়েছে উম্মতের তালিকায় নাম কাটা যাদের। তবে স্রেফ হাদীস উল্লেখ করেই দায় সারা হয়নি। হাদীসগুলোকে আনা হয়েছে গল্পের আকারে, কাহিনীর ভাঁজে ভাঁজে। একেকটি গল্পে একেক প্রসঙ্গের হাদীসগুলোকে একসাথে উপস্থাপন করা হয়েছে—যেন পাঠকের মনে সেসব হাদীস সহজেই গেঁথে যায়। গল্পের পরতে পরতে আছে আরও নানান প্রসঙ্গের ইঙ্গিত। সচেতন পাঠকের চোখে অনায়াসে তা ধরা পড়বে। এছাড়াও প্রতিটি গল্পের শেষেই আছে প্রাসঙ্গিক হাদীসগুলোর তালিকা—যেন এক ঝলক দেখলেই সবগুলো হাদীস মনে পড়ে যায়।